Back to Top

Top Menu

কোরআনের আয়াত দিয়ে স্বপ্ন ব্যাখ্যা করার কয়েকটি দৃষ্টান্ত

  • স্বপ্নে রশি দেখার অর্থ হল, ওয়াদা, অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি।

এ ব্যাখ্যাটি আল কোরআনের নিম্নোক্ত আয়াত থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।

ﭱ  ﭲ  ﭳ   آل عمران: ١٠٣

তোমরা আল্লাহ তাআলার রশিকে শক্তভাবে ধারণ করো। (সূরা আলে ইমরান: ১০৩)

  • স্বপ্নে নৌকা বা জাহাজ দেখার ব্যাখ্যা হল মুক্তি পাওয়া।

এ অর্থটি আল কোরআনের এ আয়াত থেকে নেয়া হয়েছে।

ﭑ  ﭒ  ﭓ  ﭗ   العنكبوت: 

আমি তাকে উদ্ধার করেছি এবং উদ্ধার করেছি জাহাজের আরোহীদের। (সূরা আল আনকাবুত : ১৫)

  • স্বপ্নে কাঠ দেখার ব্যাখ্যা হল, মুনাফেকী বা কপটতা। এ ব্যাখ্যাটি আল কোরআনের এ আয়াত থেকে নেয়া হয়েছে, যেখানে আল্লাহ তাআলা মুনাফিকদের সম্পর্কে বলেছেন :


ﯩ        ﯪ  ﯫﯬ  ﯻ    المنافقون: ٤

যেন তারা দেয়ালে ঠেস দেয়া কাঠের মতই। (সূরা আল মুনাফিকুন: ৪)

  • পাথর স্বপ্ন দেখলে তার ব্যাখ্যা হবে অন্তরের কঠোরতা ও পাষন্ডতা।

এ ব্যাখ্যাটি আল কোরআনের এ আয়াত থেকে গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে আল্লাহ তাআলা বলেন:

ﮗ  ﮘ  ﮙ  ﮚ  ﮛ  ﮜ   ﮝ  ﮞ        ﮟ  ﮠ  ﮡﮢ  ﯡ   البقرة: ٧٤

অত:পর তোমাদের অন্তরগুলো কঠিন হয়ে গেল, যেন তা পাথরের মত কিংবা তার চেয়েও শক্ত। (সূরা আল বাকারা: ৭৪)

  • যদি স্বপ্নে রোগ-ব্যধি দেখা হয়, তাহলে তার ব্যাখ্যা হবে মুনাফিক। কারণ, আল্লাহ তাআলা মুনাফিকদের সম্পর্কে বলেছেন :


ﮃ  ﮄ  ﮅ  . البقرة: ١٠

তাদের অন্তরে রয়েছে ব্যধি। (সূরা আল বাকারা, আয়াত ১০)

  • যদি স্বপ্নে গোশত খেতে দেখে তাহলে তার অর্থ হতে পারে গীবত বা পরনিন্দা। কেননা গীবত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন:


  ﭤ  ﭥ  ﭦ   ﭧ  ﭨ  ﭩ  ﭪ  ﭴ   الحجرات: ١٢

তোমাদের কেউ কি পছন্দ করবে তার মৃত ভাইয়ের গোশত খাবে? (সূরা আল হুজুরাত: ১৩)

এই যে ব্যাখ্যার কথাগুলো বলা হল, এগুলো যে এমন হতেই হবে তা জরুরী নয়। আবার সকলের ব্যাপারে ব্যাখ্যা একটিই হবে, তাও ঠিক নয়। একজন রোগীর স্বপ্ন আর সুস্থ মানুষের স্বপ্নের ব্যাখ্যা এক রকম হবে না। যদিও স্বপ্ন এক রকম হয়। তেমনি একজন মুক্ত মানুষ ও একজন বন্দী মানুষের স্বপ্নের ব্যাখ্যা এক রকম হবে না। স্বপ্নের ব্যাখ্যায় যেমন স্বপ্ন দ্রষ্টার অবস্থা লক্ষ্য করা হবে তেমনি স্বপ্নে যা দেখেছে তার অবস্থাও দেখতে হবে। যেমন কেউ স্বপ্নে দড়ি বা রশি দেখল। একজন স্বপ্নে দেখল সে একটি মজবুত রশি পেয়েছে। যা ছেড়া যাচ্ছে না। আরেক জন দেখল, সে একটা রশি ধরেছে কিন্তু তা ছিল নরম। দুটো স্বপ্নের ব্যাখ্যার মধ্যে বিশাল পার্থক্য হবে।

এক ব্যক্তি ইমাম মুহাম্মাদ বিন সীরিন রহ. এর কাছে বলল, আমি স্বপ্ন দেখলাম যে আমি আজান দিচ্ছি। তিনি বললেন, এর ব্যাখ্যা হল, তুমি হজ করবে।

আরেক ব্যক্তি এসে বলল, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি আজান দিচ্ছি। তিনি বললেন, এর অর্থ হল, চুরির অপরাধে তোমার হাত কাটা যাবে।

লোকেরা জিজ্ঞেস করল, আপনি একই স্বপ্নের দু ধরনের ব্যাখ্যা করলেন?

তিনি বললেন, প্রথম লোকটি নেক আমল প্রিয়। সে ভাল কাজ করে থাকে। সে জন্য তার স্বপ্নের ব্যাখ্যা নেক আমল হতে পারে। আমি আল কোরআনের আয়াত -

ﮇ  ﮈ  ﮉ  ﮊ   ﮕ   الحج: ٢٧

তুমি মানুষের মাঝে হজের জন্য আজান তথা এলান দাও। (সূরা হজ্জ:২৭)

আর দ্বিতীয় ব্যক্তি হচ্ছে পাপাচারী। তাই তার স্বপ্নের ব্যাখা পাপের শাস্তিই মানায়। তাই আমি আল কোরআনের আয়াত

ﭙ    ﭚ  ﭛ  ﭜ  ﭝ  ﭞ  ﭟ  ﭠ   يوسف: ٧٠

অত:পর এক মুয়াজ্জিন (ঘোষণা কারী) আজান (ঘোষণা) দিল, হে কাফেলা! তোমরা তো চোর। (সূরা ইউসুফ : ৭০)
 

Search Bar

Most Reading

Latest Post